ইউক্রেনের উপর অমানবিক হামলার ফলে সম্পূর্ণ একঘরে করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এর জেরে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে রাশিয়ার উপর। এবার আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে , রাশিয়াকে কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলি ফাঁকি দিতে সাহায্য করা যাবে না। নয়তো এর ফল তাদেরকেও ভুগতে হবে। চিনকে কড়া ভাষায় সতর্ক করলো আমেরিকা । তবে শুধু চিনই নয়, নিষেধাজ্ঞার ফাঁকি দিয়ে কোনও দেশ যদি রাশিয়াকে একচুল সাহায্য করে তবে তারফল হবে ভয়ানক।সম্প্রতি আমেরিকা রাশিয়া থেকে তেল, হিরে, ভদকা,প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা সহ প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানিই নিষিদ্ধ করেছে। শুধু আমেরিকা নয় ইউরোপের একাধিক দেশ এই একই পথে হেঁটেছে।
তবে সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করতে চায়না চিন। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশকেই অস্ত্র সংবরণের আর্জি জানায় তারা ।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই ঘটনায় পশ্চিমি দেশগুলির বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চিনের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়ে উঠতে পারে। মনে করা হচ্ছে, চিনের সাহায্যে রাশিয়া সমগ্র এশিয়ায় পণ্য সরবরাহ চালু রাখতে পারে। এই কারণেই ওয়াশিংটনের তরফে বেজিংকে সতর্ক করা হয়েছেন।গতকাল রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রোমে চিনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। এর আগে বেজিংকে সতর্ক কররে দেন তিনি বলেন,“সরাসরি এবং মুখোমুখি বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছি আমরা।
রোমে চিনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার
পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে সাহায্য করলে ভয়ানক ফল ভোগ করতে হবে। শুধু তাই নয়,পড়তে হবে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না, এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে কোনও ভাবেই ফাঁক গলে শ্বাস ফেলার ফুরসত পাক রাশিয়া। তাই কোনও দেশ তাদের এই সুযোগ করে দিক, তা হতে দেব না।”তার এই মন্তব্যের ভালো দিক দেখছেন না উপসাগরীয় এবং উপমহাদেশীয় বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভারত,চীন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশও সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনায় যায়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জে অন্যান্য দেশ যখন রাশিয়ার নিন্দায় ভোট দিয়েছে তখন তারা ভোট দেয়নি । কারণ সামরিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও আছে তাদের। অনেকে মনে করছেন এই হুঁশিয়ারি শুধু চিনকে নয় ভারতকেও দেওয়া হয়েছে। এখন এই ঝামেলা কবে শেষ হবে সেটাই দেখার ।
চিনকে কড়া ভাষায় সতর্ক করলো আমেরিকা