২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বলিউড (Bollywood) অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে সিবিআই তদন্ত। আর অভিনেতার মৃত্যুর ২৮ মাস পর উদঘাটন হল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুশান্ত নাকি আত্মহত্যা করেনি, তাঁকে খুন (Murdered) করা হয়েছিল – এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপকুমার শাহ নামের ওই কর্মী যিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের পোস্টমর্টেম করেন তিনি জানান যে, সুশান্তের দেহে ও গলায় একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। সুশান্তকে খুন করা হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, “সুশান্ত সিংহ রাজপুত যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন আমাদের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির। ময়নাতদন্তের কাজের সময় জানতে পারি তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তাঁর শরীরে একাধিক এবং গলায় দু’ থেকে তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করার দরকার ছিল।
কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাঁদের নির্দেশ মেনেই কাজটা করেছিলাম।” একইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন যে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সে কথা জানালেও কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ম মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘‘যখন সুশান্তের দেহ প্রথম বার দেখি, তখনই সিনিয়রদের বলি যে, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন তিনি। আমি এ-ও বলি যে, নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত। যদিও সিনিয়রেরা আমায় যত দ্রুত সম্ভব দেহের ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।’’
“খুন হয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত” বিস্ফোরক দাবি করলেন হাসপাতালের মর্গ কর্মী