ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক (Fighter Pilot) হিসাবে ইতিহাস তৈরি করলেন এক তরুণী। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুরের বাসিন্দা মেয়েটির নাম সানিয়া মির্জা। টিভি মেকানিকের মেয়ে, সাধারণ সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে আকাশ ছুঁয়ে দেখিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন একটি সাধারণ পরিবার থেকে মানুষ হয়ে কীভাবে আকাশ ছোঁয়া যায়। এনডিএ-তে মহিলাদের জন্য ১৯টি সংরক্ষিত আসন তাহকে। যার মধ্যে সানিয়া দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সানিয়া এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফাইটার পাইলট পরীক্ষায় পাস করে নজির গড়েছেন সানিয়া মির্জা। গ্রামের স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাস করেন তিনি।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে সেরা হয়েছিলেন তিনি। তারপরই সানিয়া উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য মির্জাপুরে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই নিজের প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন সানিয়া। তার ঝোঁক ছিল আকাশে ওড়ার দিকে। ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমান চালক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী যুদ্ধবিমান চালক হওয়ার পিছনে তাঁর অনুপ্রেরণা দাতা ছিলেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায় এনডিএ আকাদেমিতে যোগ দেবেন। সানিয়া হলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মুসলমান মহিলা যুদ্ধবিমান চালক। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত তার মা-বাবা। প্রসঙ্গত, এক সংবাদমাধ্যমে সানিয়া বলেন, ‘‘মহিলা যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দু’টি আসন সংরক্ষিত ছিল।
প্রথম বারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি। ইংরাজিতে ভাল কথা বললেই যে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বেশি কদর পাওয়া যায়, এই ধারণা ভ্রান্ত। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তাঁকে দেখে আমি এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করি আমি এক দিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব।’’ মেয়ের সাফল্য প্রসঙ্গে তার মা বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামের গর্ব। সে প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। ও গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্নপূরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।’’
দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে যুদ্ধবিমান চালক হলেন উত্তরপ্রদেশের সানিয়া