ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ যেন থামার নাম করছেনা। এই যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। বারংবার নানাদেশ রাশিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।রাশিয়ার উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও ইউক্রেন নিয়ে জেদ ধরে বসে আছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ।নিজের দেওয়া শর্ত থেকে পিছনে সরতে রাজি নন পুতিন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে রুশ সেনাকে কিছুটা রুখে দিলেও, এমন ভয়াবহ আক্রমণের ফলে বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসের ছবি ধরা পড়ছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। এর মাঝেই নতুন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
আমেরিকার এমন আশঙ্কা সত্যি হলে, এটি ইউক্রেনের জন্য অনেক বড় ধাক্কা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সোমবার বলেন, রাশিয়া সম্ভবত পূর্ব ইউক্রেনে ১০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। হোয়াইট হাউজে একটি বক্তৃতায় সুলিভান বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের মনে হচ্ছে, রাশিয়ার লক্ষ্য বদলে গিয়েছে। তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ দিকের তুলনায় পূর্ব দিকের ওপরই বেশি নজর দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে তাদেরই দেশের মধ্যে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। রাশিয়া পূর্বের সামরিক ব্যর্থতার জেরেই এই নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিখে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া।
অনেকেই মনে করছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এই ধরনের যুদ্ধ আর একটি দেখা যায়নি। সুলিভান বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য নতুন করে সামরিক সাহায্য ঘোষণা করবে। এবং তারসাথে রাশিয়ার ওপর আরও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। সেই নিয়ে বর্তমানে ইউরোপের মিত্র দেশগুলির সাথে তাদের আলোচনা চলছে। সুলিভান বলেন, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সামরিক শক্তি অনেকে বেশি কিন্তু তবুও ইউক্রেনকে হাতে আনতে এতদিন সময় লাগবে, এটি রাশিয়া ভাবতে পারেনি । পূর্বদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রভাব থাকলেও সেই নিয়ন্ত্রণ এবার নিজেদের হাতে তুলে নিতে চায় রাশিয়া। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে এবং পরবর্তীতে আমেরিকা আর কি কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সেটাই দেখার।
ইউক্রেন দখলে নতুন পরিকল্পনা করছে রাশিয়া! পাল্টা পরিকল্পনা আমেরিকার