চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের মতো বাংলার সিংহাসনে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য দিল্লির সিংহাসন । সেই ইঙ্গিত দিলেন কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান মহান্ত ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের মূল মন্ত্রই হলো লড়াই । দীর্ঘ ১১ বছর তার সিংহাসন কেউ টলাতে পারে নি , এবার বাংলার বাইরে দিল্লির সিংহাসনে তাদের চোখ এখন তিনদিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গেছেন । প্রথমে গিয়েই কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেন তিনি । সেখানেই তিনি বললেন , ‘গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত ।
প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চিঠি দিয়েও জবাব পাইনি ।’ তিনি সবাইকে কোরোনা বিধি মেনে মেলায় আসার কথা বলেন ।নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা । ১৬ জানুয়ারি অবধি মেলা থাকবে । ১৪ জানুয়ারি আছে পুন্যস্নান । দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ভিড় হবে এই মেলায় । সোমবার মেলার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । শুধু বৈঠক নয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে খোদ ৩ দিনের সফরে গঙ্গাসাগর যান মুখ্যমন্ত্রী ।গিয়েই প্রথমে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিয়েছেন তিনি । তাঁর সঙ্গে আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস মহান্ত ছিলেন । মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করেন তিনি আবার ‘প্রধানমন্ত্রীর পদে’ দেখার ইঙ্গিত তিনি দেন ।মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রধান মহন্ত বলেন , ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে মমতাকে কেউ রুখতে পারবে না।
ভবিষ্যৎবাণী আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আশীর্বাদ বলেই শাসকদল মনে করছে
তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমরা ।’বিধানসভা নির্বাচন জয়ের পর জাতীয় স্তরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল কংগ্রেস । বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বানাচ্ছে তারা । এই সময় প্রধান মহান্তর এমন ভবিষ্যৎ বানী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে শাসক দল মনে করছে । শুধু মুখ্যমন্ত্রী না দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে অনেকেই দেখতে চান । জ্ঞানদাস মহান্তর এই ভবিষ্যৎবাণী আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আশীর্বাদ বলেই শাসকদল মনে করছে ।কপিলমুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও অংশে কম পবিত্র নয়। কথায় বলে–সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার । আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক ।
কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি । আসলে কুম্ভ মেলা হচ্ছে সুয়োরানি । আর গঙ্গাসাগর মেলাকে মনে করা হয় দুয়োরানি। তাই কেন্দ্রের এই অনীহা। গঙ্গাসাগর মেলাকে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি ।’ কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন কিন্তু তা এখনো হয়নি, যার ফলে মানুষ অনেক অসুবিধার মুখে পড়ছে । তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্রিজ করে দেওয়ার জন্যও বারবার কেন্দ্রকে বলা হয়েছে । কিন্তু তাতেও আমরা সাড়া পাইনি । আমাদের কাজ আমরাই করব । আমাদের টাকাপয়সা হলে ব্রিজটা বানিয়ে দেব ।’ কপিলমুনির আশ্রম থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভারত সেবাশ্রম সংঘে পুজো দেন এবং সেখানকার সন্নাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলেন ।
ভবিষ্যৎবাণী,দিল্লির সিংহাসনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়