কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের কক্সবাজারে লক্ষাধিক টাকার ইলিশ জালে ধরা পরে । তারপরে আবারও কক্সবাজারে ধরা পড়ল ১৪ লাখ টাকার লাল পোয়া মাছ। মহম্মদ মিজান ও সৈয়দ নুর নামে দুই মৎস্যজীবীর জালে এই বহুমূল্যের মাছগুলো ধরা পরে । জানা যাচ্ছে , এই মাছের বায়ুথলি চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । যারফলেই এই মাছগুলোর এত দাম ।সূত্রের দ্বারা খবর , গতকাল সকালে মহম্মদ মিজান ও সৈয়দ নুর মাছধরতে যান সেখানেই ১১৬ টি লাল পোয়া মাছ তাদের জালে ধরা পরে। প্রায় প্রতিটি মাছের ওজনই গড়ে ৮ থেকে ১৫ কেজির মতো। সবমাছগুলি মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ টাকা দাম ওঠে।
জানা যাচ্ছে ,কক্সবাজার ফিশারি ঘাটের মাছের ব্যবসায়ী মহাম্মদ সওদাগর এবং আরও কয়েকজন ওই মাছগুলি কিনে নেন।তবে কেন এই মাছের দাম এত বেশি ? মৎস্যজীবীরা বলেন , “লাল পোয়া মাছের বায়ুথলি অনেক সময়েই এক ফুট লম্বা হয়। এই বায়ুথলি নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি দিয়ে সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। এই কারণেই এই পোয়া মাছের দাম অনেকটাই বেশি ।”গত শনিবার কক্সবাজার শহরের বাঁকখালি নদীর নুনিয়াছটা ফিশারিঘাট এলাকায় ২৫০০টি ইলিশ ধরা পরে যার দাম ওঠে ১৫ লক্ষ টাকা । তিনজন ব্যবসায়ী এই মাছগুলো কিনে নেন ।
এখন ইলিশের পাশাপাশি ট্রলারে গুরজালি, কোরাল, চাপা, সহ নানা সামুদ্রিক মাছও অনেকসময় ধরা পরে। কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, ”প্রতিটি ট্রলারে ৪০০ থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়েছে। পাশাপাশি অন্য মাছও ধরা পড়ছে।” জানা যাচ্ছে গতবছর জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট ১০৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল ।যারফলেই সাগরে ইলিশের প্রজনন বেড়েছে। এই বিপুল অঙ্কের মাছ ধরা পরায় মৎস্যজীবীদের মুখে হাসির রেখা ফুটেছে ।
আবারও জালে ধরা পড়লো ১৪ লাখ টাকার লাল পোয়া মাছ!