চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটে হাওড়ার চ্যাটার্জী হাটে ।সেখানেই একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক দম্পতির মৃতদেহ । মাটিতে স্ত্রীর মৃতদেহ পরে ছিল ও ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মৃতদেহ ছিল । দম্পতির মেয়ের দাবি তার মা সবসময় সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে থাকতো । প্রায় তার মা বাবার মধ্যে এই নিয়ে ঝামেলা হতো ।কাল অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর দুপুর বেলায় ১২/২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দম্পতির মৃতদেহ । দম্পতির দুই মেয়ে সেদিন ড্রয়িং ক্লাস দিয়ে ফিরে এসে দেখে দরজা ভিতর থেকে লক করা। বার বার কলিং বেল বাজানো সত্ত্বেও কেউ দরজা খোলেনি ।
আশেপাশে সবাই ছুটে এসে পুলিসে খবর দেয় । পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন মৌসুমী মাইতি । সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে গৌতম মাইতির মৃতদেহ ।সূত্রের দ্বারা খবর হাওড়াতেই একটি পানশালায় ম্যানেজারের পোস্টে কাজ করতেন গৌতম মাইতি । তিন বছর আগে চ্যাটার্জি হাট এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তারা । তাদের দুই মেয়ে হাওড়ার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে । বড় মেয়ে নবম ও ছোট মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে । প্রতিবেশীদের অনুমান গৌতম বাবু স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন ।দম্পতির বড় মেয়ে জানিয়েছে , “মা মোবাইলে ফেসবুক দেখতো।
স্ত্রী সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন
যেমন অনেকে করে, ফেসবুক স্ক্রল করে যেত। এনিয়ে বাবার প্রবল আপত্তি ছিল । বাবা বলতো তুমি ফেসবুক দেখবে না । ফোন ঘাঁটবে না । মেয়েদের পড়াবে । মা সবই করতো । তার পরেও হয়তো বাবার কোনও প্রবলেম ছিল ।”তাদেরই একপ্রতিবেশী পিন্টু মণ্ডলের বলেন , “ভদ্রলোক সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন। হোটেলে চাকরি করতেন। স্ত্রী সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এনিয়ে সবার বাড়িতে যেমন হয় তেমনটাই হয়তো হতো। ওনার মেয়েও একই কথা বলছে ।”সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারে এমন দুর্ঘটনা অত্যন্ত আশ্চর্য্য জনক। মনোবিদ সহেলী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও বিষয় তো তদন্ত সাপেক্ষ।
তবে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে বাড়িতে আশান্তি হয়। অনেক স্ত্রীই বলে কথা বলব কী ,সে হয়তো ফোনে ব্যস্ত । তবে সেটাই এই খুনের কারণ কিনা তা অবশ্য তদন্ত সাপেক্ষ ।” তবে সোশ্যাল মিডিয়া খুনের কারণ নাকি এর পিছনে অন্য রহস্য আছে তা তদন্ত করছে পুলিশ ।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারে আপত্তি , স্ত্রি কে মেরে আত্মঘাতী স্বামী