গতকাল হাওড়ায় (Howrah) বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দেখে বিজেপির (BJP) কর্মীসমর্থকরা জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন। সেই কারণে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আর অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠেননি। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ ঘোষ বলেন, “যা করছেন তাতে যথেষ্ট বদনাম হচ্ছে, এই কালচার দেখে সবাই হাসছে। ভারতবর্ষে জয় শ্রী রাম বলতে বাধা নেই। যদি খারাপ লাগে তাহলে বিল নিয়ে আসুন। সব কিছুতেই তো বিল আনেন। বিল পাশ করিয়ে জয় শ্রী রাম বন্ধ করে দিন।
বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন
নেগেটিভ পলিটিক্স ওনার রাজনীতি, নাটক করেন।” তিনি আরও বলেন, “উনি নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ ওঁর এই আচরণ। আমাদের দেশে বন্দেমাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধা নেই। উনি খেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রোজ জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি খেপে যাই? যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দেমাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল ‘জয় শ্রীরাম’ নিষিদ্ধ করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা?”
শুক্রবার রেলমন্ত্রী হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মূল মঞ্চে ওঠেননি। শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, “যাঁরা ডেকেছেন, তাঁদের তো সম্মান করুন। আপনারা তো ডাকেনও না, চিঠিও দেন না। উনি রাতে স্বপ্ন দেখেছেন রেল লাইন করবেন, আর সেই স্বপ্ন মোদিজি সফল করছেন। ডাক পেয়েছেন সম্মান করা উচিত, এমন অভিনয় করছেন যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে। এটা শোভা পায় না মুখ্যমন্ত্রীর। ওঁনার সঙ্গে রেলের কি সম্পর্ক? আমি তো কাল নাটক দেখলাম বিনা পয়সায়। যখন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলছে, তখন উনি মুখ্যসচিবের সঙ্গে গল্প করছেন। গল্প করার জন্য ওনার নবান্ন আছে। বাঙালির মান সম্মান যা ছিল, ডুবিয়ে দিচ্ছেন।”
”জয় শ্রীরামে আপত্তি, বিধানসভায় বিল আনুন” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ দিলীপের