দাউদ ইব্রাহিমের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন । একসময় তার নেতৃত্বেই মুম্বাইতে নানান বেআইনি কাজ কর্ম হতো । বোম্বিং থেকে শুরু করে খুন অনেক মামলাই তার নামে রুজু করা আছে । অনেক বছর ধরেই পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম । সম্প্রতি তার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে । এই মামলার উপর ভিত্তি করে আজ সকাল থেকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা মুম্বাই ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছেন। সূত্রের দ্বারা খবর, দাউদের বোন হসিনা পারকরের বাড়িতেও হানা দিয়েছেন তারা। হসিনা পারকর মারা গেলেও তার ঘনিষ্ঠদের সাথে এখনো রাজনৈতিক নেতাদের লেনদেন আছে বলে জানা যাচ্ছে ।
শুধু অর্থ পাচার নয় কয়েকদিন আগেই দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়
ফলে এখন সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করছে তারা ।শুধু অর্থ পাচার নয় কয়েকদিন আগেই দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় । জানা যাচ্ছে,NIA এই মামলা দায়ের করেছে । তারপরেই ED দাউদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করে দেয় । দাউদের হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ও সম্পত্তির লেনদেন খতিয়ে দেখছে তারা । মনে করা হচ্ছে দাউদের এই সম্পত্তির লেনদেনের সাথে মহারাষ্ট্রের এক বড় রাজনৈতিক নেতা জড়িয়ে আছে । তাকেই খুঁজে বার করতে চায় ED ।ED এর কর্মকর্তা জানান তারা নাগপাদা এলাকা সহ প্রায় দশটি এলাকায় তদন্ত চালাচ্ছে। বলা হয় একসময় এই নাগপাদা দাউদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল । তদন্তকারী কর্তারা জানান, কিছু রাজনীতিবিদ তাদের নজরে আছেন।
সূত্রের দ্বারা খবর এই এজেন্সি মামলার সাথে জড়িত কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় ED তরফে ।আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে মুম্বই হামলার হাত থাকায় দাউদ ইব্রাহিম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে বর্তমানে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছেন দাউদ । ২ বছর আগে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান সরকার ৮৮টি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং জঙ্গি নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তখনই পাকিস্তান স্বীকার করে যে দাউদ ইব্রাহিম তাদের দেশেই আছেন । কিন্তু এর আগে বারংবার ভারতের তরফে দাবি করা হলেও পাকিস্তান সেই দাবি খারিজ করে দিত।
মুম্বাইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ এর বিরুদ্ধে আর্থপাচার মামলা রুজু