মেঘালয়ে (Meghalaya) পরিবর্তনের ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election)। ওই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নির্বাচিত করার অনুরোধ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তিনি বলেন, “গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় শাসন করা যাবে না। কেন উত্তর পূর্বকে এত অবহেলা করা হচ্ছে? মেঘালয়ের মানুষই মেঘালয় চালাবে।
আমাদের নির্বাচিত করলে কিন্তু, কলকাতা থেকে মেঘালয় শাসন করা হবে না। এখানকার ভূমিপুত্রই মেঘালয় শাসন করবে। তৃণমূল সারা দেশের। তৃণমূল কোনও একটি রাজ্যের নয়। আমি চাই মেঘালয়ের মানুষের মুখে সর্বদা হাসি ফুটে থাকুক। আমি আশ্বাস দিচ্ছি এই হাসি সর্বদা থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে, আমি চাই মেঘালয়েও সেভাবে উন্নতি হোক। শ্রমিক-ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে মেঘালয়ে তৃণমূল কাজ করবে। আমি মনে করি তৃণমূল জিতলে এখানে সীমান্ত সমস্যা সমাধান হবে।
কারণ তৃণমূল মানেই ভবিষ্যৎ। তৃণমূল মানেই উন্নয়ন। মেঘালয়ের জয় হোক।” উল্লেখ্য, এদিন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন মেঘলায়ে ভোটে জিতলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) আদলে একটি প্রকল্প চালু হবে। পশ্চিমবঙ্গের মত মেঘালয়তেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসহারা ঢুকবে। ১০০০ টাকা করে পাবেন মেঘালয়ের মহিলারা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয়ে “উই কার্ড”-র (We Card) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এদিনের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“আমাদের ভোট দিলে আপনারা যোগ্য নেতৃত্ব পাবেন। আমাদের দলে বর্তমানে মুকুল সাংমা যোগ দিয়েছেন। তিনি এখানকার ভূমিপুত্র। বলা যায় না, যদি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তাহলে তিনিও ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তিনি আগেও এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ফলে রাজ্যের সমস্ত বিষয়গুলি তাঁর নখদর্পনে। গোয়াতে আমাদের সংগঠন সেভাবে মজবুত করা সম্ভব হয়নি কারণ সেখানে আমাদের কোনও নেতৃত্ব ছিল না। কিন্তু, এখানে তা হবে না। একইসঙ্গে অভিষেকও এখানে প্রায়ই আসবে।”
মেঘালয়েও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী