মঙ্গলবার শিবঠাকুর মণ্ডলের করা মামলার জেরে বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আপাতত সাত দিনের জন্য অনুব্রত আসানসোল জেল থেকে দুবরাজপুর থানার বন্দি। সম্প্রতি আদালতের তরফে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই কয়েক মাস আগের শিবঠাকুর মণ্ডলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সব আমার জানা আছে। চোরেদের সরকার যা করছে ডাকাত বাঁচাতে, যা করছে নথিতে থাকছে। এতে বিপদ বাড়াচ্ছে। সব সামনে আসতে চলেছে। একজন ডাকাতকে বাঁচাতে এই সরকার কতদূর যেতে পারে, তা দেখাল।’’ এদিন ডিসেম্বর তত্ত্ব প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা বলেছি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, কখনওই বলিনি যে সরকার পরিবর্তন হয়ে যাবে। যা বলেছি সব হবে।
বড় ডাকাত জেলে যাবে, সরকারি কর্মীদের ডিএ হবে, তিহার যাওয়ারও উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। একহাজার ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার তালিকাও প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। এই সংখ্যা দেখবেন এপ্রিলের মধ্যে বাড়তে বাড়তে ৫০ হাজারে চলে যাবে। সুন্দর রোড ম্যাপে এগোচ্ছে, এদের যা পরিণতি হবে, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতের আইনজীবী প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘আদালত কী করবে আদালতের ব্যাপার। কিন্তু এই কয়লা চোর বালি চোরকে বাঁচাতে সরকার যা করতে পারে, সেটা করল। তার পরিণতি ভয়ঙ্কর।’’
“ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার কতদূর যেতে পারে দেখাল” অনুব্রত প্রসঙ্গে মন্তব্য শুভেন্দুর