হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতাকে (Gita) শিশুদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন ইসকন কর্তৃপক্ষ (ISKCON Authorities)। মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর মায়াপুর (Mayapur) ইসকনে পাঁচ হাজার মানুষের কণ্ঠে সমবেত গীতা পাঠের মধ্যমে এই দাবি তোলা হবে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়। গীতা আসলে একটি দর্শন এবং গোটা বিশ্ব এই কথাটি স্বীকার করে। গীতা পাঠ্যসূচিতে থাকলে সমস্যা কোথায়?”
এবার ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে সেই গীতাকেই পাঠ্যক্রমেড় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন রসিক গৌরাঙ্গ দাস। তিনি জানিয়েছেন, এই ধর্মক্ষেত্র থেকেই গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে গীতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হবে। সম্প্রতি রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘‘ইসকন হেড কোয়ার্টার শ্রীধাম মায়াপুরে এবছর প্রায় শতাধিক মঠ মন্দিরের ভক্তদের নিয়ে এই প্রথম সম্মিলিতভাবে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে পাঁচ হাজারের অধিক ভক্ত একসঙ্গে গীতা পাঠ করবেন। গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশ্যে গীতার বাণী, আদর্শ, দেশপ্রেম ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।
এখানে চারটি মঞ্চে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানা মঠের সন্ন্যাসী থেকে শুরু করে ভক্তবৃন্দ এসে গীতা পাঠে অংশগ্রহণ করবেন। সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং চলবে দুপুর দুটো পর্যন্ত।’’ প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই রাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে অসংখ্য মানুষ মায়াপুর ইসকনে আসতে শুরু করেছেন। ইস্কন সূত্রে জানা গিয়েছে, নজিরবিহীন এই সম্মিলিত গীতা পাঠে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হয়ে একত্রে গীতা পাঠ করবেন। তাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাড় লক্ষ্যে তাঁদের এই উদ্যোগ। সেই কারণেই এই প্রথমবার এত সংখ্যক লোককে সম্মিলিত ভাবে গীতা পাঠ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইসকন কর্তৃপক্ষের মতে, এই সম্মিলিত গীতা পাঠ সমগ্র ভারতবর্ষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
গীতাকে শিশুদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুললেন ইসকন কর্তৃপক্ষ