গরুপাচার মামলায় চারবার অনুব্রত মন্ডলকে তলব করা হলেও গ্রেপ্তারির ভয়ে তিনি হাজির হননি। এই নিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।এবং রাত পোহাতে তাঁর মঙ্গলকামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন দলের বিধায়ক, নেতা ও দলীয় কর্মীরা। তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় ,হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু অনুব্রত নিজে এই যজ্ঞে উপস্থিত হতে পারেননি। কারণ তিনি গতকালই আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছেন।
কিন্তু এই মহাযজ্ঞ কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুকান্তরা। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, আদালতে রক্ষাকবচ না পেতেই ভগবানের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও তারাপীঠে ঘটা করে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় মাসখানেক আগে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। রক্ষাকবচ পাওয়ার দিনই তারাপীঠে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ভোগ নিবেদন ও দরিদ্র সেবারও আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু এবার আর কবচ মিলল না অনুব্রতর। এবার হাই কোর্ট তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, এই মামলায় একক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে তাই বহাল থাকবে।
অর্থাৎ সিবিআই তলব করলে এবার তাঁকে যেতেই হবে। গরুপাচার মামলায় চার বার অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু গ্রেফতার হবার আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ অনুব্রতের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ‘‘বার বার আদালতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কোনও তদন্তে আদালত এ ভাবে সিবিআইয়ের হাত বাঁধতে পারে না।’’ গতকাল একক বেঞ্চের রায়ই বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রাখে। এবার এটাই দেখার অনুব্রত সিবিআই তলবে যায় কিনা।
গরুপাচার মামলায় বাঁচতে তাড়াপীঠে মহাযজ্ঞর আয়োজন করা হলো অনুব্রত মন্ডলের জন্য !