যে হারে কোরনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই বাংলায় উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয় । চলতি বছরের মার্চ মাসেই আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবার সম্ভবনা আছে । পরিস্থিতি ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট করাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন । কিন্তু এর আগে চারটি পুরসভার নির্বাচন আছে । এর মধ্যেও আসানসোল আছে । একদিকে বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তার পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। এই দুটি আসনই এখন ফাঁকা আছে ।
বলা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই দুটি নির্বাচন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে । নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ।এর পরের বছরেই অর্থাৎ ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন আছে । এবং রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আছে ২০২৬ সালে ৷ ফলে আগে ভাগেই এই উপনির্বাচন করিয়ে নিতে চায় নির্বাচন কমিশন ।এই উপনির্বাচন পুরোটাই নির্ভর করছে কোরনা পরিস্থিতির উপর ৷ এখন চার পুরসভার নির্বাচন কোরণার জন্য পিছিয়ে দিতে হয় । যেহেতু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই এখনই ভোটের সিদ্ধান্ত নিতে চায় নির্বাচন কমিশন ।
এখনও সরকারি পক্ষ থেকে উপনির্বাচনের বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় নি।এর আগের কয়েকটি উপনির্বাচনে ব্যাপক হারে জয় লাভ করে তৃণমূল । অনেকদিন ধরেই রাজ্য বিজিপিতে অন্তর্দ্বন্ধ দেখা যাচ্ছে । এই কারণে তৃণমূল এগিয়ে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের শাসকদল প্রস্তুতিও নিচ্ছে জোর দমে। কিন্তু আসানসোলে বিজেপি এখনও শক্তিশালী আছে । ফলে সেখানে সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল । উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার নির্বাচন ৭ মার্চ হবে। মনে করা হচ্ছে তার পরেই বাংলায় এই উপনির্বাচন হবে । তবে সমস্তটাই কোরনা গ্রাফের উপর নির্ভর করছে ।
পরিস্থিতি ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট করাতে চাইছে নির্বাচন