প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) ব্যঙ্গ চিত্রের হোর্ডিং ছড়িয়ে পড়েছে। এই ব্যঙ্গ চিত্রের ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই হোর্ডিংয়ের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দ। আর এই হোর্ডিং বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল (TMC) নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যেকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। একইসঙ্গে এদিন তিনি দেবাংশুকে ‘ভাটাংশু’ বলে কটাক্ষ করেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এগুলো অন্য কিছু নয়, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের যন্ত্রণা, ব্যথা। বুধবার কাঁথির সভায় যা লোক হয়েছিল, তা দেখেই ওদের যন্ত্রণা আরও বেড়েছে। আমি এনজয় করছি। আমার বা আমাদের দলের তো অত টাকা নেই। তাই বিনে পয়সায় সস্তার প্রচার খুব ভাল লাগছে।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কর্মচারীদের বলুন, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা চালিয়ে যেতে। রাজ্যের মানুষ এই সমস্ত কাজ দেখছে। ওঁদের (তৃণমূলের) কর্মচারীদের বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশে আমি অত্যন্ত উৎসাহিত।
আমি সমস্ত হোর্ডিং জোগাড় করে রাখছি। এর আগেও ‘get well soon’ বলে অনেক পোস্টার পেয়েছি। ফুল পেয়েছি। সব গুছিয়ে রাখছি। শীঘ্রই একটা দিন দেখে তিহার জেলে গিয়ে সব ফেরত দিয়ে আসব।” প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর থেকে বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বর, পারবীরহাটা মোড়-সহ তিনটি জায়গায় এই হোর্ডিং দেখা গিয়েছে। ওই হোর্ডিংয়ের শিরোনামে লেখা হয়েছে, “বাড়ি কাঁথিতে। গেরুয়া উত্তরীয় গলায়। ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন, তারপর লজ্জাবতী হয়ে মুখ লুকান।” এমন কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে দ্রুত সন্ধান দিন, বলে ওই ফ্লেক্সে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
“তিহার জেলে সব ফেরত দিয়ে আসব” হোর্ডিং প্রসঙ্গে কড়া শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি