স্ত্রীর শখ পূরণ করতে গিয়ে জেলে দিন কাটাচ্ছেন স্বামী! এমনই এক আশ্চর্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল শিলিগুড়ির (Siliguri) হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এক ব্যক্তির স্ত্রীয়ের শখ বাড়িতে টিয়া পাখি আর কচ্ছপ (turtle) পোষার। স্ত্রীয়ের এই শখ পূরণ করতে ওই ব্যক্তি বাজার থেকে দুটি কচ্ছপ কিনে এনেছিলেন। এই অবধি সবই ঠিক ছিল। কেউ জানতেও পারেনি যে তিনি বাড়িতে কচ্ছপ পুসছেন। কিন্তু ওই কচ্ছপের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতেই ঘটল বিপত্তি।
সেই ফেসবুকে পোস্টের ভিত্তিতেই ওই মহিলার স্বামীকে খুঁজে জলপাইগুড়ি বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের (Jalpaiguri Baikanthapur Forest Division) বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাপি দও। অভিযুক্তকে সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করা হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে ওঠে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন দফতর। সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতের তরফে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের তালিকায় দুষ্প্রাপ্য এই কচ্ছপ বিক্রির অভিযোগে মলের দোকানদার কৌশিক ভৌমিকও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি কলকাতা থেকে এনে, শিলিগুড়ির ওই মল থেকে আগেও কচ্ছপ বিক্রি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সেই ক্রেতাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই দাবি করেছেন যে তারা কেউই জানতেন না, কচ্ছপ বাড়িতে পোষা অপরাধ। সেই কারণেই বাপির স্ত্রী ফেসবুকে ওই ‘পোস্ট’ করেছিলেন। এই ঘটনার জেরে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পাচার ‘করিডর’-এ নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘এটা বন্ধ করতে হবে। আমি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি।’’
স্ত্রীর শখ পূরণ করতে গিয়ে জেলে দিন কাটাচ্ছেন স্বামী!