উত্তরখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলার জোশীমঠ (Joshimath) এলাকা জুড়ে একের পর এক বাড়ি ধসে পড়ছে। চারিদিকে শুধু হাহাকার দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে জোশীমঠের ওই জায়গায় প্রায় ৬০৩ টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। হোটেল, রাস্তাতেও চওড়া ফাটলের একই ছবি ধরা পড়ছে। ঘর ছাড়া বহু মানুষ। যার জেরে এই কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে দিন-রাত কাটছেন তারা। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ৬০ টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় ওই এলাকায় একটি হেলিকপ্টার রাখা হয়েছে। শনিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ওই এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য জোশীমঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
তাঁকে দেখা মাত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকাবাসী। জোশীমঠের বাসিন্দাদের এই চরম দুর্দশার জেরে প্রধান মন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ডাকা হয়েছে। রবিবার একটি সরকারি বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মন্ত্রিসভার সচিব, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য বর্ষীয়ান আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে করবেন। সূত্রের খবর, জোশীমঠের জেলা আধিকারিক ও উত্তরাখণ্ডের বর্ষীয়ান আধিকারিকরা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি হয় এই জোশীমঠ শহর। ১৯৭৬ সালেই ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, এই জোশীমঠ শহরটির আয়ু একশো বছরের আশেপাশে। একইসঙ্গে তারা এই শহরে নগরাণের ক্ষেত্রেও সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা তোয়াক্কা না করেই সেই জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো হোটেল, বাড়ি গজিয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে চওড়া করা হয়েছে জাতীয় সড়ক। যার জেরেই এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে জোশীমঠ এলাকা। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আগামী ৬ মাসের জন্য বাড়ি ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া ঘোষণা করা হয়েছে।
জোশীমঠের পরিস্থিতির জেরে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক