সেলফি (Selfie) তুলতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক নাবালিকার। বড়দিনে গির্জায় মোমবাতির শিখা থেকে আগুন লেগে ওই নাবালিকা অগ্নিদগ্ধ (Burnt) হয়ে যায়। রবিবার বিকেলে এই ঘটনাটি কসবার (Kasba) টেগোর পার্কের এক গির্জায় (Church) ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে কসবা থানার এক সাব ইনস্পেক্টর সহ সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে দর্শনার্থীরা গির্জায় মোমবাতি জ্বালাচ্ছিলেন।
আর মেয়েটি সেখানে দাঁড়িয়েই ছবি তুলছিল। মনে করা হচ্ছে, অসাবধানতাবশত মেয়েটির জামায় মোমবাতির শিখা থেকে আগুন লেগে যায়। মেয়েটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার সারা শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ছোট শিশুর আর্তনাদ শুনতে পান চার্চে মোতায়েন থাকা সাব ইনস্পেক্টর। হঠাৎই তাদের চোখে পড়ে একটি বাচ্চার জামায় আগুন লেগে যায়। মেয়েটিকে বাঁচতে ওই দু’জন এগিয়ে যান। কাপড় জোগাড় করে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। অল্পের জন্য প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পায় শিশুটি। জানা গিয়েছে, আহত বালিকার বয়স ১০ বছর। সে কসবার বাসিন্দা।
বড়দিনের সন্ধ্যায় স্থানীয় এক গির্জায় বেড়াতে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার জেরে কসবা থানার ওই এসআইয়ের হাত পুড়ে গিয়েছে। ওই সময় চার্চে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরাও চার্চে ঘুরতে এসেছিলাম। হঠাৎ করেই চিৎকার শুনতে পাই এবং দেখি লোকজনের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ধরা পড়েছে। পরে জানতে পারি একটি ছোট মেয়ের গায়ে আগুন লেগে গিয়েছিল। পুলিশকর্মীরা প্রাণের তোয়াক্কা না করে তাঁকে বাঁচিয়েছেন।” উল্লেখ্য, অগ্নিদগ্ধ ওই বালিকাটিকে প্রথমে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বড়দিনে গির্জায় মোমবাতির থেকে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ বালিকা, আহত পুলিশকর্মী