ডিসেম্বর ধামাকা প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নেংটি ইঁদুর নয়, ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়ার কথা জানালেন তিনি। সোমবার দিলীপ বাবু বলেন, “মাননীয় বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নেংটি ইদুর নয়, ধেড়ে ইদুর ধরা পড়বে। সেটা একটা ইঙ্গিত। তারপর কিছু একটা হতে পারে।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর তত্ত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১২ তারিখ কী হবে জানি না। আমার তো কিছু মনে হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত তিনটি মামলার দিন ছিল জানি। কিন্তু, আজ মামলা হচ্ছে না, পিছিয়ে গিয়েছে। কী কারণ জানি না। শুনেছি, সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে পুরোনো কেস হবে না ১২ থেকে ১৫ তারিখ অবধি। কোর্টে কী ফয়সালা হবে, তা জানি না।
তবে কোর্টে মামলার উপর ভিত্তি করে কিছু বলা যায় না। আগেও সিঙ্গুর কেস নিয়ে হইহই হয়েছে, কিছু হয়নি। আদালতের মামলা নিয়ে কথা বলা যায় না। অনেক মামলা নিয়ে অনেক শোরগোল হয়। তার পর কোনও ফল হয় না। তবে বিচারপতি যখন বলছেন তখন কিছু একটা হওয়া উচিত। মানুষের ধৈর্য কম। যে ধরণের তথ্যপ্রমাণ সামনে আসছে তাতে দ্রুত কিছু একটা হওয়া উচিত। রাজনীতিতে এই তারিখের কী গুরুত্ব আছে জানি না।” উল্লেখ্য, সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভবনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোনও বৈঠকের কথা জানা নেই। হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার বৈঠক হবে। তৃণমূল ছেড়ে কেউ বিজেপিতে আসছেন বলে জানি না।
বিচারপতির মন্তব্য উদ্ধৃত করে দিলীপ ঘোষ বলেন ধামাকা কী হবে আমার জানা নেই
এখন কেউ তৃণমূল ছাড়বে না। আর ছাড়লেও বিজেপি নেবে না।’ দিলীপ বাবুর এই কথা থেকে স্পষ্ট যে শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর-ধামাকার সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী গোয়েন্দারা তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গেলে বিশেষ কেউ ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। এদিন বিচারপতির মন্তব্য উদ্ধৃত করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ধামাকা কী হবে আমার জানা নেই। তবে হওয়া উচিত। যে ধরনের তদন্ত চলেছে, তথ্য সামনে আছে। তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা উচিত। খুব বেশিদিন মানুষের ধৈর্য থাকে না। মাননীয় বিচারপতি বারবার অসন্তুোষপ্রকাশ করেছেন। ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। সময়ে হচ্ছে না।”
“নেংটি ইদুর নয়, ধেড়ে ইদুর ধরা পড়বে” বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ