শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি। একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দল যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে। নতুন বছর পড়লেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। দুর্নীতি সহ একাধিক কারণে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই সব কিছুর মধ্যেই হঠাৎ করেই শিলিগুড়িতে দুই পুলিশ অফিসারের আবাসনে হানা দিয়েছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। আর এই প্রসঙ্গ সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের তরফে যে চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা ভালো কথা। তবে এটা আগে করা হলে রাজ্যকে বদনাম হতে হতো না। কেউ সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। এরা টাকা তুলে পার্টিকে দেয়। হয়তো সিবিআই তদন্তের কথা রয়েছে, তাই এদের বাড়িতে তল্লাসি করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, রবিবার ও সোমবার শিলিগুড়িতে যে দুই আইসির বাড়িতে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা হানা দেন, তাঁদের মধ্যে একজন মালদা জেলায় কর্মরত। অন্য আর একজন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকমাস ধরেই ওই ২ আইসির ওপরে নজর রাখা হয়েছিল।
পুলিশের যে কাজ করার কথা ছিল সেটা এখন সিবিআই করছে
রবিবার রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীরা প্রথমে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার উত্তরায়ন টাউনশিপে এক আইসির আবাসনে হানা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ওই আইসির বাড়িতে হানা দেন তারা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “পুলিশের যে কাজ করার কথা ছিল সেটা এখন সিবিআই করছে। পুলিশ এখন অপরাধীদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায়। মানুষের মধ্যে কী প্রভাব হবে?” গ্রুপ ডি’র চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় বিজেপির সাংসদ ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সব পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে, কে নিয়েছে বা কে নেয়নি বলা মুশকিল। অনেকে আমাদের পার্টিতে চলে এসেছে। যার চাকরির দরকার সেই টাকা দিয়েছে। তদন্ত হওয়া দরকার।”
“পুলিশ পার্টিকে তুলে দেয়” রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলীপের