সম্প্রতি হওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরেই কংগ্রেস ২০২৪- এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। সোমবারের বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্বাচনী কৌশল কী হতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি এই আলোচনায় দলকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করা যায়, সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। তবে, এখনও সবটা স্পষ্ট নয় এই বৈঠকের প্রসঙ্গে। সূত্রের খবর, আগামী দিন কয়েক এর মধ্যে আরও দুটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, তারপরই সবটা স্পষ্ট হবে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও সোমবার বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা। সোমবার ১০ জনপথে সোনিয়ার বাসভবনে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, চিদাম্বরম, বেণুগোপাল, সুরজেওয়ালা, জয়রাম রমেশদের মতো কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতাদের সামনে প্রায় চার ঘণ্টার এক প্রেজেন্টেশন দেন প্রশান্ত কিশোর।

যেখানে আগামী ২০২৪-এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যভিত্তিক কী কী সমীকরণ সামনে রেখে এগন উচিত, যে ব্যাপারে বিশদে ব্যাখ্যা করেন। সোমবারই ১০ জনপথে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিপি) সভাপতি তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় পিকের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। তবে, সোনিয়া গান্ধী বৈঠকে ছেড়ে উঠে গিয়ে মেহবুবা মুফতির সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, বিজেপিকে ঠেকাতে ইউপিএ-তে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করতেই এই সাক্ষাৎ। পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মেহবুবা মুফতির। জানা গিয়েছে, সোমবার দলের বৈঠকে রদবদলের কথাও বলেছেন পিকে। এর মধ্যে অন্যতম, দ্রুত পূর্ণ সময়ের জন্য দলের সভাপতি নিয়োগ করা।

পিকের কংগ্রেস যোগের সম্ভবনা জোরাল হলেও, বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন

পাশাপাশি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বার্তা, কংগ্রেসের নানা কর্মসূচির প্রচার এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারেও জোর দেন।সোমবার নিজের যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন পিকে, সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, কংগ্রেসকে সেইসব রাজ্যে বেশি করে মনোনিবেশ করা উচিত যেখানে তাঁরা শক্তিশালী। পাশাপাশি সাম্প্রতিকের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে, বাংলার ক্ষেত্রে বামেদের সঙ্গে নয়, বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর উপরেও জোর দেন। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছেন ‘রাহুল গান্ধী’। এদিকে, দুটি বৈঠকে পর, পিকের কংগ্রেস যোগের সম্ভবনা জোরাল হলেও, বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সবথেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এখন কংগ্রেস।

২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কংগ্রেসের নেতারা