বীরভূমের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করলেন।বগটুই যাত্রা পথে বিজেপি নেতাদের ল্যাংচা সেবনের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে কটাক্ষ মমতার।একইসঙ্গে মূল ঘটনার জন্য তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন।রামপুরহাটকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাম এবং বিজেপির প্রতিনিধি দল।এদিন সকালে তারা ঘুর পথে পৌঁছান বগটুই।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন,”আজই ভেবেছিলাম রামপুরহাট যাব।কিন্তু দেখলাম বিরোধী দলের নেতারা ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে ঢুকছেন।তাই আজ গেলাম না।
তারপর তারা সেখান থেকে আসানসোল যাবে।ওরা থাকাকালীন আমি যাব না। কারণ,এখন গেলেই পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়াকরবে।”উত্তরপ্রদেশের হাথরস প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”আমিও সেখানে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলাম,কিন্তু ঢুকতে দেয়নি।কিন্তু এটা উত্তরপ্রদেশ নয় বাংলা।তাই কেউ চাইলেই যেতে পারে।এটা আমাদের সহযোগিতা।” এখানেই শেষ নয়,তিনি আরও বলেন,”হাথরস-উন্নাও-লখিমপুর খেরি,এই সকল স্থানে কোনও প্রতিবাদ হয় না।কিন্তু এখানে হাঁচলেও কোর্টে চলে যায়।”কুণাল ঘোষ এই ভিডিয়ো টুইট করে বলেন তিনি লেখেন,”বিজেপির পিকনিক চলছে।
তবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে?”মঙ্গলবার রাতেই রামপুরহাট পৌঁছন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।বুধবার সকালে বগটুই গ্রামে পৌঁছান মহম্মদ সেলিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।তাঁর কথায়,”রামপুরহাটে যখন খুন হচ্ছিল সাধারণ মানুষের পাশেই ছিল পুলিশ।” তাঁর এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেলিম ছাড়াও এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং রামচন্দ্র ডোম।
বীরভূমের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ