ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লকডাউন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছিল অনেকদিন ধরেই। ২০২০ সালের জুন মাস, তখন বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ অচেনা একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে তখন লড়ছে গোটা বিশ্ব। এমন সময় করোনাবিধি ভেঙে লকডাউনে পার্টি করার অভিযোগ ওঠে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারপর অনেক জল বয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকারও করেছিলেন, এইবার নিজেই মাথা নত করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইতে চলেছেন বরিস জনসন। পুলিশের জরিমানা মুখে পড়ার পর বোধোদয় হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপ রোধ করতে জারি ছিল লকডাউন। সেই সময় বড় জমায়েতের কোনো উপায় ছিল না। সাধারণ মানুষ সেই কঠোর বিধি মেনে চলতে বাধ্য ছিলেন। কিন্তু এই কোভিড বিধি উপেক্ষা করেই লকডাউনে পার্টি করার অভিযোগ উঠেছিল ‘বরিস জনসনের’ বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই লন্ডন পুলিশ এই লকডাউন পার্টির জন্য ‘বরিস জনসন’ এবং রাজস্ব মন্ত্রী ‘ঋষি সুনাক’কে জরিমানা করে। তারপরই হুঁশ ফেরে বরিসের। প্রথমদিকে তিনি বারবারই দাবি করেছেন যে, তিনি কোনও বিধিভঙ্গ করেননি। ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলা হয়েছে বলেই দাবি ছিল তাঁর। তবে শেষমেশ তিনি লকডাউনে পার্টি করা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের এই পার্টি নিয়েই সুর চড়ায় বিরোধীরা। বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগের দাবিও জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর গদি হারানোর মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। তাঁর নিজের দলেরই একাধিক সাংসদ তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। তবে বরিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও তিনি বারংবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যাতে কোনও কোভিডবিধি ভঙ্গ না হয়। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। বিরোধীদের চাপের মুখেই ভুল স্বীকার তাঁর।
লকডাউনে পার্টি করার অভিযোগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে