সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়ার এক সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার চেয়ারে বসে আছি। মার্শাল এসে বললেন, ‘আপনি বিরোধী দলনেতা। আপনার সঙ্গে ‘লিডার অফ দ্য হাউস’ দেখা করতে চান, কথা বলতে চান।’ আমি বুঝলাম, এ তো ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমাকে চা খাওয়ার নামে একা নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর আমার বিজেপি কর্মী, যাঁরা আমাকে কিংবা আমাদের দেখে আশায় বুক বাঁধছেন, ভাববেন সেটিং হয়ে গিয়েছে। তখন বললাম, শর্ত আছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কথা হয় মিনিট দুয়েক। নমস্কার-প্রতি নমস্কার। আমরা এক কাপ চা-ও খাইনি। আমরা বিজেপি করি। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনীতির সৌজন্য আমি জানি। নরেন্দ্র মোদী আমাদের সেটা শিখিয়েছেন।’’ উল্লেখ্য, এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ফের ‘ডিসেম্বর তত্ত্ব’ নিয়ে কথা বললেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর যে কয়লা চুরি, গরু পাচার, বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত, তাকেই ডিসেম্বরে জেলে যেতে হবে। ডিসেম্বরে শুধু হবে হবে বলছেন। ঠিক কী হবে সেটা স্পষ্ট করে কেন বলছেন না।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রীর ডাক প্রসঙ্গে পাল্টা মন্তব্য করেন বোলপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো। উনি বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই বিরোধী দলনেতাকে চা খাওয়াতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘কার ধরা পড়ার কথা হচ্ছে, জানি না। কিন্তু অনেক আগে চিট ফান্ডের সময়েই তো ধরা পড়া উচিত ছিল! নারদ-কাণ্ডে যাকে টাকা নিতে দেখা গেল, তাকে প্রশ্রয়ই বা কেন দেওয়া হল? মোদ্দা কথা হল, কানের পাশে ঘুরঘুর না করে মাথাটা ধরতে হবে। মাথা বাঁচানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রী কি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধরেছেন আর সেই জন্যই এখানে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে চা খেতে যাচ্ছেন?’’
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল ‘ডিসেম্বর তত্ত্ব’