সাম্প্রতিক কালে সোনাগাছির (Sonagachi) যৌনপল্লী নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। যৌনকর্মীদের (sex workers) বিরুদ্ধে খদ্দেরদের থেকে টাকা থেকে গয়না লুট করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার জেরে বড়তলা থানায় (Baratala police station) একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। একের পর এক ঘটনার জেরে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে তৎপর পুলিশ। সূত্রের খবর, সোনাগাছিতে অপরাধমূলক ঘটনা রুখতে কলকাতা পুলিশের তরফে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV camera) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বড়তলা থানার উদ্যোগে সোনাগাছির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে সোনাগাছিতে একটি ঘর থেকে যৌনকর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলা কেটে তাকে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর খুনিকে ধরতে বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে দুর্বার মহিলা জনসংযোগ আধিকারিক মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। যদি কোনও যৌনকর্মীর কাজে সমস্যা হোক বা লোকজন আসতে ভয় পাক তা আমরা চাইছি না। কিন্তু, পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে তাঁরা পুরোপুরি সুরক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নিচ্ছেন।
একটি দুষ্কৃতীচক্র যৌনকর্মীদের সামনে রেখে প্রতারণা চক্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে আমরা চাইছি তাদের শাস্তি হোক। কিন্তু, এর জন্য যৌনকর্মীদের কোনও ক্ষতি হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়।” অনেকের মতে সোনাগাছিতে যদি কোনও বড় অপরাধ ঘটে, তখন এই সিসিটিভির ক্যামেরা খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাগাছির যৌনপল্লিতে বেশ কিছু অপরাধ মূলক কাজ হচ্ছে। ২০২০ সালে অনেক বেশি অপরাধ মূলক কাজ ঘটেছে। ২০২১ সালে এমন দু’টি ঘটনার জেরে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই কারণে ওই এলাকায় সিসিটিভির প্রয়োজন আছে।
সোনাগাছিতে বসছে ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা, চিন্তায় যৌনকর্মীরা