নিজস্ব সংবাদদাতা,অর্পিতা মন্ডল- তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী হিসাবে বরাবরই তিনি সফল। একুশের ভোটযুদ্ধে দফতর হারিয়ে শিক্ষা থেকে ফের শিল্পে ফিরেছেন তিনি। এদিন নতুন দফতর পেয়ে যেমন নির্লিপ্ত শোনাল তাঁকে, তেমনই পরোক্ষে মনে করালেন পুরনো দফতরে তাঁর সাফল্যের খতিয়ান।
প্রথম তৃণমূল সরকারের শুরুতে এই দফতরেরই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তারপর শিক্ষামন্ত্রী। এরপর আজ সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার দফতর বণ্টনের পর দেখা যায় শিক্ষা থেকে ফের শিল্প দফতরে ফিরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সাফল্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। প্রথমবার শিল্প দফতর থেকে পার্থবাবুকে সরিয়ে অমিত মিত্রকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে রাজ্যের শিল্পায়নের ছবির তেমন বদল হয়নি। পুরনো দফতর ফিরে পেয়েও এদিন তাঁর কণ্ঠস্বরে স্পষ্ট, তেমন খুশি নন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন শিল্প থেকে শিক্ষায় দিয়েছিল সেটাও তো চ্যালেঞ্জ ছিল। আর এতো আমার পরিচিত ফিল্ড। সারা বিশ্বেই শিল্প ও বিনিয়োগের যা পরিস্থিতি….অমিত মিত্র অনেকটাই এগিয়ে রেখেছেন। তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নেবো”।
ব্রাত্য বসুর শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে অভিষেকের পর পার্থবাবু বলেন, “ব্রাত্য যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন তো ৫০টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ৫২টা নতুন সরকারি স্কুল ছিল না। ১০০-র ওপর ইংলিশ মিডিয়াম ও ৭৫০টির ওপর হিন্দি মাধ্যম স্কুল ছিল না। সেই ধারাকেই সে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যদি কোথাও কোনও ভুল থাকে তাহলে সংশোধন করবে”।
তবে শিল্প দফতরের দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বের বিনিয়োগের হালকে যে ভাবে ঢাল করলেন পার্থবাবু তাতে আগামীতেও রাজ্য কতটা শিল্পায়নের পথে এগোতে পারবে সে প্রশ্ন রয়েই গেল।